একজন চাকরিজীবি ছেলে বিয়ের জন্য কেমন মেয়ে চাই

প্রাপ্ত বয়ষ্ক সকল যুবক-যুবতীর অন্যতম চিন্তা থাকে কে তার সঙ্গী/সঙ্গিনী হবে! জীবনের অংশীদারের চিন্তাই বড় একটা সময় চলে যায়। কল্পনাতেও শুধু তাকেই খুঁজতে থাকে। বুঝতে শেখার পর থেকে বিয়ের আগ পর্যন্ত প্রতিটি মানুষ তার বিপরীত মানুষটার জন্য অপেক্ষা করে। একই সাথে স্ত্রী নির্বাচনের আগে একজন চাকরিজীবী ছেলে হবু বউকে নিয়ে শুরু করে চুল চেরা বিশ্লেষণ। কল্পনাতে শুধু তাকেই খুঁজতে থাকে। তাহলে আর দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক-
আকর্ষণীয় চেহারা
Face doesn’t matter অর্থাৎ “চেহারা কোনো বিষয় নয়” কথাটা আসলে পুরোপুরি সত্য নয়। সুন্দর চেহারা অবশ্যই গ্রহনযোগ্যতা বেশি পায় এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। ছেলেরা সৌন্দর্যের পূজারী। তাই জীবনসঙ্গী হিসেবে ছেলেরা সব সময়ই দেখতে সুন্দর, পরিস্কার-পরিছন্ন ও আকর্ষণীয় মেয়েদেরকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। অবশ্য অন্ধ প্রেমের ক্ষেত্রে এগুলো অনর্থক।

স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ না করা মেয়ে
ছেলারা স্বাধীনচেতা মানুষ। এরা উড়তে চাই উন্মুক্ত আকাশে, এক সমুদ্র পরিমাণ বিশূদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে চাই আমৃত্যু পর্যন্ত। তাই স্বভাবজাত ভাবেই যেসব মেয়েরা ছেলেদের এ স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে সে সব মেয়েদের থেকে ছেলেরা আস্তে আস্তে দূরে সরে যায়।
যে মেয়ে কঠিন সময় পাশে থাকবে
যে কোনো ব্যক্তির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো বিয়ে। বিয়ে এমন একটি ধাপ যেখানে একে অপরের ভালো সময় এবং খারাপ সময়ের মধ্যে ভালবাসার আর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। মূলত কঠিন পরিস্থিতিতে পাশে থেকে ভরসা দেওয়ার মত জীবন সঙ্গীই একজন ছেলে চেয়ে থাকে।
চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে
মেয়েরা চঞ্চল হলে একটু বেশিই সুন্দর লাগে। যদিও তারা একটা পর্যায়ে গিয়ে একেবারে শান্ত হয়ে যায়। এই চঞ্চলতা এমন, যেন খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে তারা তাদের জীবন সঙ্গীকে বিরক্ত করবে। এমন কিছু বিরক্ত ছেলেরা সারাজীবনই পেতে চাই।
রোমান্টিক মেয়ে
ছেলেরা সবাই চাই যে, তার জীবনসঙ্গী কিছুটা রোমান্টিক হোক। কিছুটা খুঁনশুটি করুক। একে অপরকে বুঝুক তবে এর ব্যত্যয় হলে জীবন নিরানন্দ হয়ে পড়তে পারে।

সৎ এবং বিশ্বাসী মেয়ে
সততা একটা সৌন্দর্য। আর এটা যদি কোনো মেয়ের মধ্যে পাওয়া যায় তাহলে বুঝে নিয়েন তার সৌন্দর্যের বিশালতা অসীম। এমনও দেখা যায় নিজে সৎ না হলেও সৎ জীবনসঙ্গীর তপসা করে দিন পার করে। সৎ মানুষকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়। আর কাউকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করার মত মধুর ব্যাপার বোধ হয় পৃথিবীতে আর একটাও নেই।
নমনীয় স্বভাবের মেয়ে
মেয়েরা নমনীয় হবে এটা প্রত্যাশিতই। বর্তমান যুগে বৈবাহিক সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার সব থেকে বড় কারণ নমনীয়তার অভাব। অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে অনধিকার বা অতিধিকার চর্চা করার ফলে অনেক সুখের সংসার নষ্ট হতে পারে। তাই নমনীয় স্বাভাবের মেয়েদেরকে ছেলেরা বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
ধর্মীয় জ্ঞান চর্চা করা মেয়ে
ধার্মিক মেয়ে বেশিরভাগ ছেলেদের পছন্দের তালিকায় থাকে। ছেলেরো চায়, তার জীবনসঙ্গী তার সমস্ত দোষত্রুটি সংশোধন করার তাগিদ দিক এবং একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করুক।
ফ্যামিলি সম্পর্কিত প্রকাশিত সকল আর্টিকেল এখানে
💖💖💖